বাবার ধর্ষণের পর বন্ধুর হাতে হেনস্থা

১৪ বছরের মেয়েটি সৎবাবার যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে এক বন্ধুর কাছে সাহায্য চেয়েছিল। কিন্তু ব্রায়ান রজার নামে ওই যুবক আরো বিপদে ফেলেছিল তাকে।

অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্মে আলাপ ব্রায়ান রজারের সঙ্গে। সৎ বাবার হাতে ধর্ষিত হওয়ার ভিডিও রজারকে পাঠিয়ে দিয়েছিল আমেরিকার টেনিসির ওই কিশোরী। তারপর মেয়েটিকে অপহরণ করে ধর্ষণের সেই ভিডিও অনলাইনে পোস্ট করে দেয় রজার। জানুয়ারি মাসে অপহৃত সেই কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে রজার ও সৎবাবা র‌্যান্ডাল প্রুইটকে।

ঘটনাটি ১৪ জানুয়ারির। আগের দিন আগে রজার মেয়েটিকে বলেছিল, ‘তোমার সৎবাবা ঘরে ঢোকার আগে ফোনে রেকর্ডিং অন করে রাখবে।’ তাই করেছিল মেয়েটি। তারপর ধর্ষণের সেই ভিডিও পাঠিয়ে দিয়েছিল রজারকে। সাতশো মাইল পাড়ি দিয়ে সে দিনই উইসকনসিন থেকে টেনিসি চলে আসে রজার। মেয়েটিকে নিয়ে যায় নিজের বাড়িতে। পরে ওই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়ে দেয়।

তিন ভাই-বোনের সঙ্গে বাড়িতেই পড়াশোনা করত ওই কিশোরী। গত ২৫ জানুয়ারি পুলিশ ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে মেয়েকে খুঁজে দেওয়ার জন্য ‘আবেদন’ও জানিয়েছিল সৎ বাবা প্রুইট। কিশোরীর মা ক্রিস্টিনাকে বিয়ে করার পরে ওই কিশোরীকে দত্তক নিয়েছিল বছর একচল্লিশের প্রুইট।

১ ফেব্রুয়ারি পুলিশ রজারের বাড়ি থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। প্রথমে রজার পুলিশকে জানায়, ওই কিশোরী সেখানে নেই। পরে পুলিশি তল্লাশিতে উদ্ধার হয় কিশোরী।

পুলিশি জেরার মুখে রজার প্রথমে দাবি করেছিল, সে ওই ভিডিও ছড়ায়নি। কাউকে পাঠায়ওনি। তবে তার ফোন থেকে পুলিশ জানতে পারে রীতিমতো ক্যাপশন-সহ ভিডিওটি প্রচার করে।

জেরায় রজার জানিয়েছিল, মেয়েটির মোবাইল ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছিল সে, যাতে কেউ তার খোঁজ না পায়। পুলিশ অনলাইন চ্যাট ঘেঁটে দেখেছে, ধর্ষণের ভিডিও রেকর্ড করার জন্য মানসিকভাবে ওই কিশোরীর উপরে চাপ তৈরি করে রজার। প্রথমে রাজি না থাকলেও পরে রজারের কথা মেনে নেয় তরুণী।

দোষীসাব্যস্ত হলে রজারের অন্তত ১৫ বছর জেল হবে। যাবজ্জীবন জেল হতে পারে সৎবাবার। কিশোরীর মা ক্রিস্টিনার বিরুদ্ধে অবশ্য কোনো অভিযোগ আনা হয়নি।

যদিও কিশোরী জানায়, প্রুইটের হাতে নির্যাতিত হওয়ার কথা মাকে বলেছিল সে।

এবিষয়ে ক্রিস্টিনা জানান, মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত মেয়েকে সুস্থ করে তোলার দিকেই আপাতত নজর দিতে চান তিনি।